শেষ হলো ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব
দৌল পূর্ণিমা উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন আখড়াবাড়ীতে চলা ঐতিহাসিক লালন স্মরণোৎসব শেষ হয়েছে। আজ শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশাল এই উৎসবের সমাপ্তি ঘোষণা করেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রেভিনিউ) আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
লালন একাডেমির মূল মঞ্চে রাতের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক। লালন একাডেমির সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে লালন ফকিরের ওপর আলোচনা করেন গবেষক অধ্যাপক ড. সরোয়ার মুর্শেদ। আরো বক্তব্য দেন জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, লালন একাডেমির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক, মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি লেখক কলামিস্ট গিয়াস উদ্দিন মিন্টু প্রমুখ।
আলোচনা শেষে মূল মঞ্চে একাডেমির শিল্পীরা লালন ফকিরের আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করেন।
বাউলদের খাঁটি করে গড়ে তুলতে বাউলসম্রাট লালন শাহ তার জীবদ্দশায় ছেউড়িয়ার এই আখড়াবাড়িতে প্রতিবছর চৈত্রের দোল পূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। ১২৯৭ বঙ্গাব্দের পহেলা কার্তিক তাঁর মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছে তাঁর অনুসারীরা। ‘শুদ্ধ মনে সকলি হয়’ বাউলসম্রাট লালন ফকিরের এই বাণীর স্লোগানে এবারও ২২ মার্চ থেকে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। আখড়াবাড়ি চত্বরে কালী নদীর তীরে ছিল লালন মেলা। আধ্যাত্মিক গুরু ফকির লালনকে স্মরণ ও নিজেকে শুদ্ধ করতে দেশ-বিদেশের হাজার হাজার লালন অনুসারী, ভক্ত অনুরাগী আর দর্শনার্থীরা আখড়াবাড়িতে এসেছিলেন। উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল।