রফিউর রাব্বি কারাগারে
চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন একটি আদালত।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরীর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত রফিউর রাব্বিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুর রহিম জানান, চেক প্রত্যাখ্যানের মামলায় রফিউর রাব্বির সাজা হয়েছিল। এই সাজার বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করেছিলেন। উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখেছিলেন। আজ রফিউর রাব্বি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রফিউর রাব্বির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম জানান, এই মামলার বাদী আওয়ামী লীগ নেতা ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের মামাশ্বশুর। একটি জমি ক্রয় করা হয়েছিল, সেই জমি ফেরত দেওয়ার শর্তে একজন আইনজীবীকে দুটি চেক দেন রফিউর রাব্বি। সেই আইনজীবীর যোগসাজশে এই মামলাটি হয়েছে।
আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম দাবি করেন, ‘ত্বকী হত্যাকাণ্ডের পর তাঁর বাবা রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জবাসীকে একত্রিত করে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন। ফলে রুষ্ট হয়ে শামীম ওসমানরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নীলনকশা বাস্তবায়ন করল। এটা স্পষ্ট। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমরা উচ্চ আদালতে যাব এবং ন্যায়বিচার পাব।’
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে রাফিউর রাব্বি ২০১২ সালের ৮ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলার বাদী ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন আহম্মেদকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের পৃথক দুটি চেকের মাধ্যমে ৭০ লাখ টাকা দেন। পরবর্তী সময়ে ওই চেক দুটি ব্যাংকে প্রত্যাখ্যাত হয়। জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে রফিউর রাব্বির বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৫ এপ্রিল মামলা করেন।
পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ২৪ জুন ওই মামলায় আদালত বিবাদী রফিউর রাব্বির অনুপস্থিতিতে এক বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এর মধ্যে এক কোটি ৪০ লাখ টাকা মামলার বাদীকে এবং বাকি ৭০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
রাব্বি ৩৫ লাখ টাকা জমা দিয়ে ওই আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালত নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।