প্রশ্ন ফাঁস ও নকলের দিন শেষ : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল করে পাস করার দিন শেষ হয়ে গেছে। পরীক্ষায় পাস করতে হলে ছাত্রছাত্রীদের এখন পড়ালেখা করতে হবে। এমন পদ্ধতিই আমরা উদ্ভাবন করেছি। নকলে সহায়তাকারী শিক্ষককে শিক্ষকতায় পেশায় রাখা হবে না বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী ৩ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২২৮টি। পরীক্ষাকেন্দ্র বেড়েছে ৩৩টি। এতেই প্রমাণিত হয় ঝরেপড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। আগে এসএসসি পাস করার পর এইচএসসিতে ভর্তি হতো না। এ পর্যায়ে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ত। এখন এ সংখ্যাটা কমে এসেছে। এটা সরকারের বিরাট সাফল্য।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করে দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সব জায়গা আমরা তদরকির আওতায় নিয়ে এসেছি। এখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি তাদের আত্মীয়স্বজনরা সবাই আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি এবার বিজি প্রেস থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না। কেউ যদি ইন্টানেট, ফেসবুক কিংবা ইমেইল ব্যবহার করে ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে তা পোস্ট করে তাহলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয় নিয়ে আমরা এখন খুবই সতর্ক রয়েছি।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পরীক্ষার্থীরা নকলসহ ধরা পড়লে শুধু বহিষ্কারই নয়, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। কোনো শিক্ষক নকল করতে ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করলে কিংবা নকল দেখার পরও তাকে না ধরলে ওই শিক্ষককে আর শিক্ষকতা পেশায় রাখা হবে না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।’