বকেয়া কর আদায়ে ড. ইউনূসকে চিঠি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বকেয়া কর বিষয়ে আলোচনার জন্য নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি পাঠিয়েছে। গতকাল রোববার কর অঞ্চল-৬ (ঢাকা) থেকে পাঠানো এক চিঠিতে ড. ইউনূসকে আগামী ২৯ মার্চ বকেয়া কর বিষয়ে কথা বলার জন্য কর কমিশনার মেফতাহ উদ্দিনের সাথে আলোচনায় বসতে অনুরোধ করা হয়েছে।
এনবিআর সূত্র থেকে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বর্তমান বকেয়া করের পরিমাণ ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বেশি। ২০১১-১২, ১২-১৩ ও ১৩-১৪ করবর্ষের এ বকেয়া পরিশোধের জন্য এনবিআরের পক্ষ থেকে কয়েক দফা তাগাদা দেওয়া হয় তাঁকে। এরপরও বকেয়া কর পরিশোধ না করায় কর অঞ্চল ৬-এর ১১৪ নম্বর সার্কেলের পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে বাংলাদেশের হয়ে এ নোবেল বিজয়ীকে।
সংশ্লিষ্ট সার্কেলের কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনূসের বকেয়া করের পরিমাণ পরিমাণ ১১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার বেশি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর কমিশনার মেফতাহ উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
কর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা দেশে করদাতাদের কাছে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিভাগের বকেয়া প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা। সাধারণ করদাতারা যখন প্রতিবছর নিয়মিত কর পরিশোধ করছেন, তখন একটি বিশেষ শ্রেণী কর বকেয়া রাখছেন বছরের পর বছর। বিশেষ করে উচ্চ আদালতে মামলা করে বকেয়া রাখছেন তাঁরা। এ অবস্থায় পুরনো পাওনা আদায়ে নতুন করে তৎপর হয়েছে এনবিআর। এর অংশ হিসেবে বকেয়া করের বিষয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এনবিআরের মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।
ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের চেষ্টাকে ‘শান্তি স্থাপন’ বিবেচনা করে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে। এর চার বছরের মাথায় নরওয়ের টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রামীণ ব্যাংককে দেওয়া বিদেশি অর্থ এক তহবিল থেকে অন্য তহবিলে স্থানান্তরের অভিযোগ উঠলে দেশে-বিদেশে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
গ্রামীণ ব্যাংকের সূচনা থেকেই এ প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মুহাম্মদ ইউনূস। অবসরের বয়সসীমা পেরিয়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০১১ সালের মার্চে তাঁকে অব্যাহতি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালতে গেলেও ওই পদে তিনি আর ফিরতে পারেননি।