বাঁশখালীর ঘটনায় স্বাধীন তদন্তের দাবি তেল-গ্যাস কমিটির
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডমারা এলাকা পরিদর্শন করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল। এখানেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে এ দাবি জানানো হয়।
একই সঙ্গে গণ্ডামারা এলাকায় সংঘর্ষ, হতাহতের ঘটনায় স্বাধীন ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে হত্যাকারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।
শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় গণ্ডামারার নাজিরপাড়া স্কুলমাঠে সমাবেশ করতে প্রকল্পের কর্মীরা বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। এরই মধ্যে ঘটনা তদন্তে পুলিশের তিন সদস্যের কমিটি কাজ শুরু করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। তাঁরা এলাকাবাসীর স্বার্থের পরিপন্থী কোনো কাজ না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহম্মদ বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, একটা স্বাধীন ও গ্রহণযোগ্য তদন্তের ব্যবস্থা করা। যারা অপরাধী, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী, যারা এই অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
এস আলম পাওয়ার প্ল্যান্ট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে গণ্ডামারা এলাকায় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছিল। দীর্ঘদিন ধরে এর বিরোধিতা করে আসছিল এলাকাবাসী। শেষ পর্যন্ত তারা রাস্তায় বিক্ষোভ করলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায় এবং চারজন নিহত হন। তবে সরকার প্রকল্পটি সেখান থেকে সরিয়ে নেবে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।