পুলিশের অভিযান ঠেকাতে গণ্ডামারায় রাতভর পাহারা
চট্টগ্রামের বাশঁখালীতে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় দিন দিন বাড়ছে ক্ষোভ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠন একাত্মতা ঘোষণা করায় বাড়ছে আন্দোলনের তীব্রতা।
উপজেলার গণ্ডামারায় কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে পুলিশের গুলিতে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় সাড়ে চার হাজার এলাকাবাসী এখন হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি হতাহতের ভাই বশির ও নিহত জাকের আহমদের স্ত্রী বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেন। তবে পুলিশের করা মামলার আসামি প্রায় তিন হাজার। এসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার নারী ও পুরুষ। পুলিশের অভিযান ঠেকাতে রাতদিন পালা করে পাহারা দিচ্ছেন গণ্ডামারা ইউনিয়নের লোকজন।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পুলিশের ভয়ে রাতে তারা কেউ ঘুমাতে পারেন না। কখন এস. আলম গ্রুপের লোকজন এসে হামলা চালায় সে ভয়ও পাচ্ছেন তাঁরা।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনকারীদের একজন গণ্ডামারা ভিটামাটি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী। তিনি বলছেন, এ প্রকল্পটি স্থাপনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, এস আলম গ্রুপ ও প্রশাসন নানাভাবে এলাকাবাসীকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।
তবে এলাকাবাসীর আস্থা অর্জনে এরই মধ্যে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
ঘটনার পর নতুন কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম। কোনো ধরনের ভয়ভীতি ছাড়া এলাকাবাসীকে চলাফেরা ও পুলিশকে প্রতিপক্ষ না ভাবার আহ্বান জানান তিনি।
গণ্ডামারা গ্রামে প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের অর্থায়নে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। গত ৪ এপ্রিল এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে এলাকাবাসীর সমাবেশে হামলার ঘটনায় চার জন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।