সেনানিবাস এলাকা পরিদর্শন করলেন সিআইডির ডিআইজি
কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ কুমিল্লা সেনানিবাসের যে স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়, সেই স্থানটি পরিদর্শন করেছেন এ ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির একটি বিশেষ দল।
আজ রোববার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে সংস্থাটির ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহাবুব মহসিন ও অতিরিক্তি ডিআইজি আবদুল্লাহ আল আজাদের নেতৃত্বে ১৪ জনের একটি দল সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অলীপুর এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় সদস্যরা ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ও তনুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। দুপুর ৩টায় তারা সেনানিবাস এলাকা ত্যাগ করেন। কুমিল্লা জেলা সিআইডি কার্যালয়ে এসে পৌঁছেন ৩টা ২০ মিনিটে।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ডিআইজি কোনো কথা বলেননি। তবে সিআইডির কুমিল্লা অঞ্চলের বিশেষ পুলিশ সুপার ড. নাজমুল করিম খান কথা বলেন।
নাজমুল করিম খান গণমাধ্যমকে জানান, তাঁরা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য সর্বোচ্চ মেধা ও পরিশ্রম করছেন।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা সেনানিবাসের পাওয়ার হাউসের পাশের একটি জঙ্গলে কলেজ ছাত্রী তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পরের দিন তার বাবা ইয়ার হোসেন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন।
পুলিশ থেকে ২৫ মার্চ রাতে মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবিতে) হস্তান্তরের পর আদালতের নির্দেশে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর লাশ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু গত ৪ এপ্রিল তনুর প্রথম ময়নাতন্দের রিপোর্টে ধর্ষণের স্পষ্ট আলামত নেই মর্মে রিপোর্ট দাখিল করা হয়।