বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি সরকারের পূর্ণ সমর্থন
বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রতি সরকারের পূর্ণ সমর্থন আছে। এ নিয়ে নেতিবাচক তথ্যগুলোকে কেবলই অপপ্রচার বলে মনে করে সরকার।
আজ রোববার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘বলা হচ্ছে, কয়লাভিত্তিক প্রকল্প হলে মায়ের দুধ শুকিয়ে যায়, মানুষ মরে যায়। এটা অপপ্রচার ছাড়া কিছুই না।’ তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
বাঁশখালীতে নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, ‘কমিটি বোধ হয় দিন সাতেকের মধ্যে রিপোর্ট দিবে। তখন সেটা বোঝা যাবে কী কারণে হয়েছে। এত অস্থির হলে চলবে না।’ স্বার্থন্বেষী মহল এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধে অপপ্রচার চালানোয় মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম জানান, বাঁশখালী প্রকল্প এখনো ছাড়পত্র না পেলেও, পাওয়া যাবে দ্রুতই। তিনি বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রাথমিক নির্দেশনা মেনেই কাজ চলছে।’
বাঁশখালীর গণ্ডামারা গ্রামে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে চীনের অর্থায়নে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। গত ৪ এপ্রিল এ প্রকল্পের বিরোধিতা করে এলাকাবাসীর সমাবেশে হামলার ঘটনায় চারজন নিহত ও অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে সাড়ে ছয় হাজারের অধিক মানুষকে।
সাম্প্রতিক সময়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমি অস্বীকার করছি না। বহুজায়গায় আমরা সংযোগ দিচ্ছি। ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশনের কারণে সমস্যা হচ্ছে। এ সমস্যার কারণে অনেকে মনে করছেন, লোডশেডিং হচ্ছে, আসলে সেটা না। আমাদের কাছে বিদ্যুৎ আছে। অনেক সময় বিদ্যুৎটা আমরা সে জায়গায় পৌঁছাতে পারছি না।’
আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে এর সমাধানের পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ মেলারও আশ্বাস দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।