‘বাঁশখালীর ১০ জন যাবেন চীন-ভারতে’
চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের আগে স্থানীয় ১০ ব্যক্তিকে চীন অথবা ভারতের বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনের সুযোগ দিচ্ছে সরকার।
আজ শনিবার বিকেলে বন্দরনগরীর সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন।
এ সময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, পেশাজীবীসহ বাঁশখালীর জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে ওঠা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তথ্যচিত্রে দেখানো হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র হওয়ার পরও সেখানকার জনজীবন ও জীববৈচিত্র্য স্বাভাবিক রয়েছে। পরিবেশের ক্ষতি নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে যে সংশয় রয়েছে, তার ব্যাখ্যা দেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস।
এ সময় এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশের কোনো ক্ষতি না হলে এবং পরিবেশের ছাড়পত্র পেলে উন্নয়নের বিরোধী নয় বলে জানান এলাকাবাসী।
গণ্ডামারা ইউনিয়ন বাঁচাও আন্দোলন কমিটির প্রধান উপদেষ্টা এবং বাঁখালীর সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁশখালীর মানুষ উন্নয়ন চায়। আমরা উন্নয়নের পক্ষে। প্রকল্প যদি মানুষের, পরিবেশের ক্ষতি না করে তাহলে বাঁশখালীর মানুষ তাতে সমর্থন দেবে। কিন্তু ক্ষতি হলে সেটা আমরা মানব না। পরিবেশের ছাড়পত্র আপনারা আমাদের দেখান।’
পুলিশ বলছে, কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এস আলম কোম্পানি দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, মানুষের পরিবেশের পাশাপাশি সেখানকার কর্মসংস্থান নিয়েও ভীতি রয়েছে। জমি যদি চলে যায় তাহলে মানুষ কী করে খাবে- সেই ভীতিও রয়েছে। ভীতি কাটানোর জন্য এখানকার মানুষকে দিনাজপুর নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। তারা সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন।
প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপদেষ্টা আলমগীর কবির বলেন, তবে পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে উন্নতমানের বিদ্যুৎকেন্দ্র হিসেবে সেটি গড়ে তোলা হবে।
এ সময় জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন এ ঘটনায় দায়ের করা মামলা শেষ করার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।