শফিক রেহমান সাংবাদিক থেকে অপরাধী হয়েছেন : জয়
সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
গতকাল শনিবার নিজের ফেসবুকের অ্যাকাউন্টে করা এ মন্তব্যে জয় দাবি করেছেন, তাঁকে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে প্রমাণ রয়েছে। জয় মন্তব্য করেছেন, শফিক রেহমান সাংবাদিক থেকে অপরাধী হয়ে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘কত হরহামেশা আপনি এমন কোনো লোককে পাবেন যে আপনাকে হত্যার চেষ্টা করছে? আমার ক্ষেত্রে, আপাতদৃষ্টিতে আমার জানার বাইরেও এটা প্রায়শই হচ্ছে। আমি অপরাধী বা কোনো খারাপ মানুষও নই যে এমনটা হবে। এটা শুধু এ জন্য ঘটছে যে আমার মা বাংলাদেশের রাজনীতিতে আছেন এবং আমি সময়ে সময়ে তাঁকে সাহায্য করি। এটা এ জন্যও যে আমাদের বিরোধীদল, যারা বিশেষত সহিংস অপরাধমূলক কাজে নিমজ্জিত এবং দেশের শীর্ষ মৌলবাদী দল, যারা সরাসরি আইএসআইএস-এর সাথে যুক্ত, তাদের সাথে জোটভুক্ত।’
জয় আরো বলেন, “কিন্তু অন্য প্রসঙ্গে আসি। যুক্তরাষ্ট্রে আমাকে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা শফিক রেহমানকে আজ আমাদের সরকার গ্রেপ্তার করেছে। একজন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতার ছেলে, একজন সাবেক এফবিআই এজেন্ট এবং এ দুজনের অন্য একজন আমেরিকান বন্ধু, এরা সবাই এই ষড়যন্ত্রের কারণে সাজা ভোগ করছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের প্রেস রিলিজ থেকে আপনি এই মামলার বিষয়ে সরাসরি পড়তে পারবেন। ‘খ্যাতিমান’ অংশটির বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই, কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা ‘বাংলাদেশের নাগরিক’ হচ্ছি আমি।’ এরপর তিনি এই লিংকটি দেন https://www.justice.gov/…/former-fbi-special-agent-sentence…
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “‘সাংবাদিক’ শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে প্রমাণাদি সরাসরি এই মামলা থেকে এসেছে। লক্ষ করুন, আমি সাংবাদিক শব্দটি উদ্ধৃত করেছি কারণ, যখন আপনি অপহরণ ও হত্যার চেষ্টায় যুক্ত হবেন, তখন আমার বিশ্বাস আপনি আপনার পেশার ধরন পরিবর্তন করে সাংবাদিক থেকে অপরাধী হয়ে গিয়েছেন। বিএনপি এসব কাজের জন্য একটি মধ্যবর্তী পেশার কার্যধারা পরিচালনা করে।”
গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর ইস্কাটনের নিজ বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে ২০১৫ সালে পল্টন থানায় করা একটি মামলায় শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার দেখায় ডিবি। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার নিন্দা জানিয়েছেন।