কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে করা রিটের শুনানি আগামীকাল বুধবার হতে পারে। হাইেকার্টের একটি বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে নতুন করে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠানো হয়েছে।

এর আগে গত সোমবার এ রিট আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ (আউট অব লিস্ট) দেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।  পরে রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ আবেদনটি অন্য বেঞ্চে শুনানির জন্য নিয়ে যান।

ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, রিট আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পর নতুন করে অন্য কোর্টে আবেদন করেছি। এখন ওখানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

এর আগে গত ৪ এপ্রিল তনু হত্যার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রিট আবেদনে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তনু হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিটে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। পাশাপাশি ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

গত ২০ মার্চ রাতে  কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে নিজ বাসা থেকে ২০০ গজ দূরে তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাশেই ছিল তাঁর জুতা, ছেঁড়া চুল, ছেঁড়া ওড়না।

ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্সের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে অলিপুর এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তাঁর বাবা ইয়ার হোসেন ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী।