বায়োমেট্রিক : উপজেলায় রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ চলবে
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের কাজ চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। দেশের সোয়া কোটিরও বেশি মোবাইল গ্রাহকের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে আঙুলের ছাপ না মেলায় তা হালনাগাদ করতে আগামী তিনদিন রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয় খোলা রাখতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সব উপজেলা নির্বাচন ও রেজিস্ট্রেশন কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা পাঠান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি উইংয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
মাঠ কর্মকর্তাদের কাছে এনআইডি উইংয়ের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “আগামী ৩০ এপ্রিল সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইলের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হবে। এ জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত সব উপজেলা/থানা নির্বাচন কার্যালয় খোলা রেখে সিম নিবন্ধনে যাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সমস্যা দেখা দেবে তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করে ‘আপলোডার সফটওয়ার’ ব্যবহার করে তাৎক্ষণিকভাবে ডাটা আপলোড করতে হবে।”
যাদের ‘আপলোডার কনফিগারেশন’ সমস্যা রয়েছে তাদের আইটি শাখার সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
এদিকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনর্নিবন্ধনের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় ৩০ এপ্রিলের পর কয়েক ঘণ্টা সিম বন্ধের সিদ্ধান্তে অটল থাকার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, এর পর এই নিবন্ধন কীভাবে হবে সে বিষয়ে শনিবার জানানো হবে।
ডাক ও টেলি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বৃহস্পতিবার জানান, মোবাইল অপারেটরগুলোর সব কাস্টমার কেয়ার সেন্টার ও রিটেইলার পয়েন্টে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম-রিম নিবন্ধন কার্যক্রম ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে।
দেশের ছয়টি মোবাইল অপারেটরের সাত কোটি ৭৯ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধন হয়েছে বুধবার পর্যন্ত। এ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বা পুনর্নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় আঙুলের ছাপ না মেলায় সিম পুনর্নিবন্ধন করতে পারেননি প্রায় সোয়া এক কোটি গ্রাহক।
তারানা হালিম বলেন, ‘আরো এক কোটি ২১ লাখ এসেছিলেন, তারা নানা ধরনের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলা বা ভুলভাবে নম্বর দেওয়ার কারণে ম্যাচ করেনি। ধরে নিচ্ছি, তারা জেনুইন এবং তারা এসেছিলেন।’
৩০ এপ্রিল রাত ১০টা পর্যন্ত মোবাইল অপারেটরদের সেবাকেন্দ্র খোলা থাকার পাশাপাশি নির্বাচনী কার্যালয়ও খোলা থাকবে।