বরখাস্ত মেয়র মান্নান কারাগার থেকে হাসপাতালে
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (জিসিসি) সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র এম এ মান্নানকে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয় মান্নানকে।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এর সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, নাশকতার দুই মামলায় আদালতে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুরের পরের দিন বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অধ্যাপক এম এ মান্নান অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে পুলিশ প্রহরায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। বুধবারই আদালত হয়ে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানোর সব ব্যবস্থা করা হলেও ওই দিন ঢাকায় যাওয়ার পুলিশ না পাওয়ায় কারাগারে ফেরত নেওয়া হয়।
কাশিমপুর কারা হাসপাতালের চিকিৎসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এম এ মান্নান ডায়াবেটিস, হাইপোথাইরয়েডিজম, কিডনি ও হৃদরোগ ছাড়াও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, গাজীপুরের জয়দেবপুর ও কালিয়াকৈর থানার দুটি নাশকতার মামলায় বুধবার দুটি পৃথক আদালত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাময়িক রখাস্তকৃত মেয়র এম এ মান্নানের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় গাড়িতে অগ্নিসংযোগের মামলায় পুলিশ এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে। এদিকে একই তারিখে টঙ্গী ও কালিয়াকৈর থানার গাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গাজীপুরে বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত কতৃর্ক অভিযোগপত্র গৃহীত হলে ওই বছরের ১৯ আগস্ট স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে। গ্রেপ্তারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।
এদিকে গত ২ মার্চ অধ্যাপক মান্নান জামিনে মুক্তি পান। তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করে দেওয়া স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ ১১ এপ্রিল ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে ১৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রাখেন। এদিকে অপর একটি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহীত হলে ১৯ এপ্রিল তাঁকে ফের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।