মনজুরকে চট্টগ্রাম ২০ দলের আনুষ্ঠানিক সমর্থন
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে এম মনজুর আলমকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেলে ২০-দলীয় জোট চট্টগ্রামের সমন্বয়ক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বন্দরনগরীর মেহেদীবাগের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় সেখানে মনজুর আলম উপস্থিত ছিলেন। এ ঘোষণার পরই ২০ দলের নেতারা সেখানে বৈঠকে বসেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনজুর আলমকে আবার কেন্দ্র থেকে সমর্থন দেওয়ার সুপারিশ করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ চট্টগ্রাম বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
তার আগের দিন বুধবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় বন্দরনগরীর জিইসি মোড়ের একটি কনভেনশন সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলন’ মনজুর আলমকে তাদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয়। গতবারও মনজুর এই সংগঠনের সমর্থিত প্রার্থী হিসেবেই নির্বাচন করে জয়ী হন।
গত শুক্রবার বিকেলে (২৭ মার্চ) পদত্যাগ করেন মেয়র এম মনজুর আলম। তিনি প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ হোসেনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন তিনি।
২০১০ সালের ১৭ জুন মেয়র নির্বাচনে সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মনজুর আলম বিএনপির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে ৯৩ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর তাঁকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯-এর উপধারা (২) (ঙ) অনুযায়ী, মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তাঁকে প্রার্থী হতে হলে পদত্যাগ করে তা মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কপি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে কাউন্সিলররা পদত্যাগ না করেও নির্বাচন করতে পারবেন। এ কারণে মনজুর আলম গতকাল শুক্রবার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময়। ১ ও ২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৯ এপ্রিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ২৮ এপ্রিল ভোট গ্রহণ করা হবে।