নিজামী প্রাণভিক্ষা চাইবেন না
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নিজামীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, গত শুক্রবার নিজামীর পরিবারের সদস্যরা তাঁর সঙ্গে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে দেখা করেছেন। সেখানেই পরিবারের সদস্যদের তিনি জানিয়েছেন, তিনি প্রাণভিক্ষা চাইবেন না।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। বিকেল ৫টার কিছু পর আপিল বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেন।
গত ৫ মে (বৃহস্পতিবার) আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এর পরদিন পরিবারের সদস্যরা নিজামীর সঙ্গে দেখা করেন।
পরে ৮ মে নিজামীর বড় ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মুমিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “তিনি (নিজামী) রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না। তিনি বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করছি, প্রাণের মালিক আল্লাহ। সুতরাং আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি দেশবাসীকে আমার সালাম জানাচ্ছি ও দোয়া চাচ্ছি, যাতে আমি জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইমানের ওপর দৃঢ় ও অবিচল থাকতে পারি। আমি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমার মাঝে কোনো দুর্বলতা নেই। আমি কোনো অন্যায় করিনি। সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এ সরকার আমাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। আল্লাহ যদি আমাকে শহীদী মৃত্যু দেন, তাহলে সেটা হবে আমার চরম সৌভাগ্য’।”
এদিকে মতিউর রহমান নিজামীকে গতকাল রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে। কারাগারের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নিজামী যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন না করেন তাহলে সরকার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রায় বাস্তবায়ন করবে। তার আগে নিজামীকে আনুষ্ঠানিভাবে রায় পড়ে শোনানো হবে এবং প্রাণভিক্ষার আবেদন করার কথা বলবে কারা কর্তৃপক্ষ।