নিজামীর ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন করেছেন কারা কর্মকর্তারা। পরে রায় কার্যকর করার প্রস্তুতির বিষয়ে বৈঠক করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কারাগারে এ বৈঠক করা হয় বলে কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়।
বৈঠকে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল, কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, জেলার নেসার আলমসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কারাগারের ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তাসহ ফাঁসির মঞ্চ পরিদর্শন করেন তাঁরা।
এ বিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষে ম্যাজিস্ট্রেটরা কারাগারে গিয়ে নিজামীর কাছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাইবেন। প্রাণভিক্ষা না চাইলে বা আবেদন নাকচ হলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
জাহাঙ্গীর কবির আরো বলেন, আইন অনুসারে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেকোনো সময় নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর করবে কারা কর্তৃপক্ষ। এর আগে শেষবারের মতো তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন স্বজনরা।
গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে নিজামীকে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর জানান, রায় পড়ে শোনানোর সময় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রাণভিক্ষার বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসা করা হবে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন। এর পর বিকেল ৫টার কিছু পর আপিল বিভাগের একটি প্রতিনিধিদল রায়ের কপি ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে দেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে লাল কাপড়ে মোড়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি নিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে রওনা হয়। পরে ৭টা ৫ মিনিটে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর রায়ের কপি গ্রহণ করেন।
গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মতিউর রহমান নিজামীকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।
গত ৫ মে (বৃহস্পতিবার) আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে নিজামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।