চট্টগ্রামে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ বিএনপির
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী ও নেতার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। আজ রোববার সকালে বন্দরনগরীর জুবিলী রোডে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।
এদিন মেয়র পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন ২০-দলীয় জোট-সমর্থিত এম মনজুর আলম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও এস এম ফজলুল হক। রিটার্নিং অফিসার মো. আবদুল বাতেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে এক মন্ত্রী ও একজন নেতা প্রচারণা চালিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে নোমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনাব মোশাররফ হোসেন সাহেব (গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী), হাছান মাহমুদ সাহেব (আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক); তাঁরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। লঙ্ঘনের অভিযোগ আমরা ফরমালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) আপনাদের সামনে অফিসারকে দিয়েছি। আমরা দেখতে চাই, রিটার্নিং অফিসার বা নির্বাচন কমিশন এ সম্পর্কে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আমীর খসরু বলেন, ‘সরকারের প্রভাবে যদি প্রার্থীর প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয়, সেটা আমরা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরব। এর জন্য সরকারকে দায়ী হতে হবে, নির্বাচন কমিশনকে দায়ী হতে হবে।’
গত ১৮ মার্চ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এদিন তিনি জানান, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৯ মার্চ, যাচাই-বাছাই হবে ১ ও ২ এপ্রিল। প্রার্থীরা ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন বলেও জানান তিনি। এর পর মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ১০ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।