নেত্রকোনায় দগ্ধ হয়ে শিশুর মৃত্যু, বাবা-মা আহত
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে নিজেদের ঘরে কুপিবাতি থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে এক শিশু মারা গেছে। এ সময় শিশুটির বাবা ও মা দগ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটির মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মারা যাওয়া শিশুটি হচ্ছে মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলি গ্রামের সবুজ মিয়ার মেয়ে নাভা আক্তার (৬)। আহত হয়েছেন সবুজ মিয়া (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী রীপা আক্তার (২৫)।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাবারের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় এলাকায় বিদ্যুৎ চলে যায়। এ সময় কুপিবাতি জ্বালিয়ে রীপা আক্তার রান্নাঘর থেকে খাবার-দাবার আনছিলেন। কুপিবাতি থেকে ঘরে থাকা শিশু নাভার গায়ে আগুন লেগে যায়। এই আগুন নেভাতে মা ও বাবা এগিয়ে এলে উভয়েই দগ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৩টার দিকে নাভা মারা যায়। পরিবারের অন্য সদস্যরা শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে আজ বুধবার সকালে বাড়িতে নিয়ে আসে।
দুপুরে শিশুটির লাশ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি কুপিবাতি, কেরোসিনের পাত্র জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ।
মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকসুদ আল মাসুদ জানান, সবুজ মিয়ার শরীরের ৪০ শতাংশ, রীপা আক্তারের ২০ শতাংশ ও নাভার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়েছে।