৭ এপ্রিলের আগে প্রচার নয় : ইসি
আসন্ন ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারণা আগামী ৭ এপ্রিলের আগে চালানো যাবে না বলে প্রার্থীদের সতর্ক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার এ কথা জানায় ইসি।
নির্বাচনী প্রচারণাবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত তারিখের ২১ দিন আগে, অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ না করে প্রচারকাজ চালালে তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসি সবাইকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রোববার বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমাদান। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ও ২ এপ্রিল এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ এপ্রিল। আর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে আগামী ২৮ এপ্রিল।
শেষ দিন পর্যন্ত আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৬০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ২৬ জন, উত্তরে ২১ এবং চট্টগ্রামে ১৩ জন সম্ভাব্য প্রার্থী। এ ছাড়া তিন সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে এক হাজার ৪১৪ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৫৯ জনসহ তিন পদে মোট এক হাজার ৮৩৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬৩২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫৩ প্রার্থী এবং উত্তর সিটিতে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৯৪ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮৮ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সরওয়ার মোর্শেদ সন্ধ্যায় বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মিছিল-জনসভা করা নিষেধ। মনোনয়ন দাখিলের মাধ্যমে প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের ফাইলবন্দী হয়ে গেলেন। এখন আমরা মনিটরিং টিম করব। এই মনিটরিং টিম মেয়রদের মনিটর করবে, যাতে কেউ উসকানিমূলক কিছু করতে না পারে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের মনিটর করা হবে।’
ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। বিধি লঙ্ঘন করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার ভ্রাম্যমাণ আদালত একজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।’