‘কূটনৈতিক প্রতিবাদ কেন করা হলো না’
ভারতে বসে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের তথ্য পেয়েও সরকার কেন কূটনৈতিক প্রতিবাদ করেনি, তা জানতে চেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় হান্নান শাহ এসব কথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, বিএনপিকে নিয়ে এই মোসাদের গল্প সরকারের একটি ষড়যন্ত্র বলেই তারা ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানায়নি। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে হেয় করতে এ ধরনের কল্পকাহিনী সাজানো হয়েছে।
‘আসলাম চৌধুরী সম্বন্ধে বলা হচ্ছে, ভারতের মাটিতে ষড়যন্ত্র হলো। ভারত তো আমরা সবাই মনে করি, বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড়, বলতে পারেন একমাত্র নির্ভরযোগ্য সমর্থক। তো তাদের মাটিতে এটা হলো, বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে জিজ্ঞাসা করে না কেন?’, বলেন হান্নান শাহ।
‘একটা কূটনৈতিক প্রতিবাদ কেন করা হলো না, যে তোমার মাটিতে বসে কেন এই ষড়যন্ত্র করা হলো?’
গত ৯ মে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ।
এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।
এর পর ১৫ মে বিকেলে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছিল।
১৬ মে আসলাম চৌধুরী ও তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুজ্জামান মিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।