আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসলামকে নতুন রিমান্ড নয় : হাইকোর্ট
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর রিমান্ড বাতিল চেয়ে করা আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিমান্ড বাতিলে আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ২৪ মে দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ রোববার দুপুরের পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটির প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসলাম চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন শুনানিতে অংশ নেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
শুনানিকালে আদালতকে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ বলেন, ‘এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানিতে অংশ নেবেন। তাই সময় প্রয়োজন। তবে এ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে আসলাম চৌধুরীকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না মর্মে আদালতকে আশ্বস্ত করছি।’ এ পর্যায়ে আদালত শুনানি ২৪ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন। একই সঙ্গে আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসলামকে নতুন করে রিমান্ডে নেওয়া যাবে না মর্মে আদালত আদেশ দেন।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার আসলাম চৌধুরীর সাতদিনের রিমান্ড শেষ হবে। এ আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হবে না মর্মে আদালত জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ মে বাংলাদেশের সরকার উৎখাতে ইসরায়েলের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
গত ১৫ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে তিনি এবং তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী আসাদুজ্জামান ও গাড়িচালক আল-আমিনকে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসলাম চৌধুরীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয় সরকার। দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে সতর্কবার্তা পাঠায় গোয়েন্দা সংস্থা।
সম্প্রতি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলামের একটি ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর তোলপাড় শুরু হয়। ইসরায়েলি নেতার সঙ্গে আসলাম ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠক করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়। তবে আসলাম ইসরায়েলি নেতার সঙ্গে বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও কোনো রকম ষড়যন্ত্রের কথা অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, ব্যবসায়িক কারণে বিভিন্নজনের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় এবং সে কারণেই মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে তাঁর বৈঠক হয়েছে।