নিরাপত্তাবোধ করছেন না কামদাপ্রসাদা সাহা
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহার বাসা ও কর্মস্থলে পুলিশের নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। তবে কামদা প্রসাদ জানাচ্ছেন, তিনি আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তাবোধ করছেন না।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডে ময়নাতদন্তকারী বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদকে গত মঙ্গলবার এক চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে তিনিসহ তাঁর বিভাগের চিকিৎসক শারমিন সুলতানা ও মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মহসিন উজ জামান চৌধুরীকে পাঠানো উকিল নোটিশের জবাব যথাসময় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কামদা প্রসাদ।
আজ বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে কামদাপ্রসাদ বলেন, ‘তনু হত্যা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা একটি উকিল নোটিশ পেয়েছি সালমা আলী স্বাক্ষরিত। এরপর আমরা আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। এ উকিল নোটিশের জবাব কীভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। যথাসময়ে ওই উকিল নোটিশের জবাব পৌঁছে দেওয়া হবে।’
তনুর ময়নাতদন্তে হত্যার আলামত গোপনের অভিযোগ এনে ময়নাতদন্তকারী তিন চিকিৎসককে উকিল নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী ও তনুর বাবা ইয়ার হোসেনের পক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী ওই উকিল নোটিশ পাঠান।
কামদা প্রসাদ বলেন, ‘যেহেতু আমাকে ও আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে, আমি আতঙ্কিত এবং নিরাপত্তা বোধ করছি না। বিষয়টি পুলিশ ও আমার প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এখন তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’
কামদা প্রসাদ আরো বলেন, ‘কোতোয়ালি থানা থেকে আমার কাছে পুলিশ এসেছিল। থানার ওসি এখানে এসেছিলেন। উনারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।’
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, কামদা প্রসাদ সাহার বাসা ও কার্যালয়ে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।