সাংসদপুত্র রনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন স্বজনরা
রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে গভীর রাতে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে নিরীহ দুজনকে হত্যার ঘটনায় সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন স্বজনরা।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শামছুন নাহারের আদালতে এ মামলায় দুজন সাক্ষ্য দেন।
সকালে আদালতে নিহত রিকশাচালক আবদুল হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম এবং নিহত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সালমা বেগম সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য হাজির হন। বিচারক তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করার পর রনির আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু তাদের জেরা করেন। এ সময় অঝোরে কাঁদতে থাকেন নিহত ইয়াকুব আলীর স্ত্রী সালমা বেগম।
সালমা বেগম আদালতকে বলেন, ‘আমার স্বামীর খুনি রনি আজ আদালতে হাজির আছেন। তিনি আমার স্বামীকে হত্যা করেছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই। আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করি।’
সাক্ষ্যে মনোয়ারা বেগম আদালতকে বলেন, ‘আমার ছেলেরে গুলি কইর্যা মাইর্যা ফালাইছে। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
সাক্ষ গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ২৮ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছেন।
গত বছরের ২১ জুলাই সাংসদপুত্র বখতিয়ার আলম রনিকে একমাত্র আসামি করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস।
বখতিয়ার আলম রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ও সংরক্ষিত আসনের সাংসদ পিনু খানের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৩ বছরের এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে নিউ ইস্কাটনে একটি কালো রঙের প্রাডো গাড়ি থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও রিকশাচালক আবদুল হাকিম আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তাঁরা।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে গত বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।
পরে গত বছরের ২৪ মে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)।
তদন্তভার পাওয়ার পর গত বছরের ৩১ মে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে বখতিয়ার আলম রনিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।