আসলাম চৌধুরী সাত দিনের রিমান্ডে
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে গুলশান থানার রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আসলাম চৌধুরীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য হাজির করা হয়।
ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালত তাঁর জামিনের আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার আসলাম চৌধুরীকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাসহ নাশকতার আরো দুই মামলায় আদালতে রিমান্ড শুনানির জন্য হাজির করা হলে ঢাকা মহানগর হাকিমের পৃথক তিন আদালত রিমান্ড শুনানি না করেই কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি শুনানির জন্য আজ দিন নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে ২৭ মে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুল হক আসলামকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
এ ছাড়া ২৪ মে লালবাগ ও মতিঝিল থানায় করা দুটি নাশকতার মামলায় আসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছিল পুলিশ। এ দুটি মামলা আগামী ৬ জুন শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আদালতে আসলামের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন তাঁর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ঢাকা মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আল আবু।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে ১৫ মে বিকেলে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
আসলাম চৌধুরীর দেশত্যাগে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ মে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এমনকি তাঁকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার মিলনায়তনে ১৪ মে এক সংবাদ সম্মেলনে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন আসলাম চৌধুরী।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর ৯ মে প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ।
এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।