ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন। এতে আইন সচিব, সংসদ সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সংশ্লিষ্ট দুজন রিটার্নিং অফিসারকে বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলেও জানান ওই আইনজীবী।
রিটে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন আইন, ২০০৯ আইন ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০১১ আইন দুটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এ দুটি আইনে বলা হয়েছে, ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্ত হলেও ‘ঢাকা’ শব্দটি আইনে থেকে গেছে। সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করার পরও ঢাকা থেকে যাওয়ায় দুই ভাগে বিভক্তের আইনি প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি। এ ছাড়া সংবিধানেও দুই সিটি করপোরেশনে বিভক্ত করার উল্লেখ নেই। ঢাকা একটিই রয়েছে। তা ছাড়া মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য এক লাখ টাকা জামানত রেখে নির্বাচন করতে হচ্ছে, যা সংবিধান পরিপন্থী বলেও রিটে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউনূস আলী আকন্দ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই রয়েছে। কিন্তু এক লাখ টাকা জামানত দিয়ে নির্বাচন করলে অনেকেই নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচন করার জন্য লাখপতি হতে হবে, যা সংবিধান পরিপন্থী।’
‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মনোনয়নপত্রের জন্য ২৭ হাজার এবং উত্তরের মনোনয়নপত্র কেনার জন্য ১৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে করে অনেক নাগরিকই নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই আমরা নির্বাচন স্থগিত চেয়েছি। আইনগুলো সংশোধন করার আগ পর্যন্ত দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থগিতাদেশ চেয়েছি,’ যোগ করেন ইউনূস আলী।