ঝিনাইদহে ভিন্ন মতাবলম্বী হত্যা থামছে না
ঝিনাইদহে একের পর এক ভিন্ন মতের মানুষ খুন হলেও পুলিশের তদন্তে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঝিনাইদহে খ্রিস্টান হোমিও চিকিৎসক সমির খাজা ও শিয়া মতাবলম্বী হোমিও চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে বড় ধরনের কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সর্বশেষ আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার মহিষাডাঙ্গা ভাগাড় এলাকায় দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করেছে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে। তিনটি খুনের পরই দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কালুহাটী গ্রামের বেলেখাল বাজারে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হন সমির বিশ্বাস ওরফে সমির খাজা। নিজ চেম্বারে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় তাঁকে। জানা যায়, সমির খাজা এলাকায় খ্রিস্টান মতবাদ প্রচার করতেন। তবে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে এ খবর অস্বীকার করা হয় ।
সমির খাজা হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শাহিন উদ্দীন বলেন, ‘সমির হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চলতি বছরের ১৪ মার্চ কালীগঞ্জ শহরের নিমতলার খামিনী হোমিও হলের মালিক চিকিৎসক আবদুর রাজ্জাককে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি এলাকায় শিয়া মতবাদ প্রচার করতেন বলে জানা যায়। এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নীরব হোসেন জানান, মামলাটির তদন্ত এখনো চলছে। দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার ও ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, ওই দুই খুনের ধারাবাহিকতায় খুন হলেন মন্দিরের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী।
ওই তিনজনকে খুনের দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে আইসএস এ ধরনের দাবি নাকচ করে দেওয়া হয়।