ঝিনাইদহে পুরোহিত হত্যার ঘটনায় আটক নেই
ঝিনাইদহে পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলী (৬৫) হত্যার ঘটনায় নাম উল্লেখ না করে মামলা করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নিহত আনন্দ গোপালের বড় ছেলে অরুণ কুমার গাঙ্গুলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
ঝিনাইদহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, গতকাল দুপুরে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামকে। রাতভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে সন্দেহভাজনদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কোনো যোগসূত্র নেই দাবি করে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলতাফ হোসেন বলেন, খুনিদের গ্রেপ্তার করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইনফরমেশন) রমা কান্ত গুপ্ত ও ফার্স্ট সেক্রেটারি ভিসা রাজেশ উসিয়া ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
এ সময় জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার সমাদ্দার ও পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা কনক কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তারা দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় এসপি অফিসে যান। সেখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহের এসপি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ঝিনাইদহ সদর থানার ওসিসহ পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত মতবিনিময় করেন তাঁরা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি জৈয়ন্ত সেন দীপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি, ঝিনাইদহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতারাও গতকাল ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবি করেন।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা ভাগাড় এলাকায় একই উপজেলার করাতিপাড়া গ্রামের পুরোহিত আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলীকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকে নিহত পুরোহিতের স্ত্রী-স্বজনসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।