গুলিবিদ্ধ ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাতসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ (৫৩) মারা গেছেন। ভোটের দিন দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে আহত করে।
আজ রোববার ভোরে রাজধানীর ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ কে আজাদ মারা যান। পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩১ মার্চ দ্বিতীয় দফা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এ কে আজাদ।
গত ৪ জুন ভোট গ্রহণের দিন রাত ১০টার দিকে জয়পুরহাট সদর উপজেলার গোপালপুর ও কোচকুঁড়ি গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় এ কে আজাদকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এর পর আহত অবস্থায় তাঁকে গুলিও করা হয়। একই সঙ্গে নয়ন (৩৪) নামের এক পথচারীকেও গুলি করে দুর্বৃত্তরা।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় এ কে আজাদ ও নয়নকে উদ্ধার করে প্রথমে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় সেখান থেকে দুজনকেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এর পর ৫ জুন ভোররাতে দুজনকেই রাজধানীর মহাখালীর মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এরপর অবস্থার অবনতি হলে এ কে আজাদকে ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। আজ ভোরে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
৫ জুন জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, ভাতসা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ কে আজাদ রাতে (৪ জুন) একই উপজেলার দুর্গাদহ বাজার থেকে মোটরসাইকেলে নিজ বাড়ি কোচকুঁড়ি গ্রামে ফিরছিলেন। গোপালপুর বাজার পার হয়ে কোচকুঁড়ি গ্রামের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। চেয়ারম্যানের চিৎকারে নয়ন নামের এক পথচারী এগিয়ে গেলে উভয়কেই গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।