ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ কারাগারে
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছেছে। আজ শনিবার দুপুর ২টা ৪১ মিনিটে সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী ও ডেপুটি জেল সুপার লাভলু নির্বাহী আদেশটি গ্রহণ করেন।
আইজি প্রিজনের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নির্বাহী আদেশটি দুপুর ২টা ৪১ মিনিটে কারাগারে এসে পৌঁছে। এখন সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে কামারুজ্জামানকে পড়ে শোনানো হচ্ছে।’
২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত বছরের ৩ নভেম্বর তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। চলতি বছরের গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। এর পর ১৯ ফেব্রুয়ারি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পৌঁছায়।
সর্বশেষ গত ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় কামারুজ্জামানের পক্ষে রিভিউ আবেদন করা হয়। কিন্তু তা খারিজ করে দেন আদালত।
২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২ আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ মানবতাবিরোধী সাতটি অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১২ সালের ৪ জুন কামারুজ্জামানের বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর মধ্যে পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুটিতে মৃত্যুদণ্ড, দুটিতে যাবজ্জীবন ও একটিতে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।