গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলাকারীরা জেএমবির : আইজিপি
গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলাকারীরা জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
আজ শনিবার আইজিপি বলেন, ‘গুলশানে যারা হামলা করেছে, তারাই শোলাকিয়ায় হামলা চালিয়েছে। তারা জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য। তারা এখানে এসেছিল ঈদগাহে বোমা মেরে মুসল্লিদের হত্যা করার জন্য। পুলিশের বাঁধার কারণে মাঠে যেতে ব্যর্থ হয়ে জঙ্গিরা পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে।’
আইজিপি দুপুরে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের দিন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশান ২ নম্বর সেকশনের স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। সেখানে সন্ত্রাসীরা দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জনকে হত্যা করে।
পরদিন ২ জুলাই সকালে জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে সাত সন্ত্রাসীর মধ্যে ছয়জন নিহত হয়।
জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স দাবি করে, এ হামলার ঘটনার দায় নিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলাসিক স্টেট (আইএস)। আইএসের বার্তা সংস্থা আমাকের বরাত দিয়ে সাইট এ হামলায় অংশগ্রহণকারী পাঁচজনের ছবিও প্রকাশ করে।
গুলশানের ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদগাহ মাঠের অদূরে পুলিশের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ ছাড়া সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির সময় ওই এলাকায় ঝর্ণা রানী ভৌমিক নামে এক গৃহবধূর নিহত হন। এ দিন ঘটনাস্থলে সন্দেহভাজন এক জঙ্গিও নিহত হয়।
আইজিপি হামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিকের বাসভবনে যান এবং তাঁর স্বজনদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি সাংবাদিকদের আরো বলেন, গুলশানে নিহত হওয়া পাঁচজনকে আমরা জেএমবি সদস্য হিসেবে জানি। আমরা তাদের অনেক দিন ধরে আটকের চেষ্টা করে আসছিলাম। শোলাকিয়ার হামলায় যারা আটক হয়েছে, তারা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, গুলশানে হামলাকারীদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা আছে।’
গুলশানের ঘটনায় আইএসের দায় স্বীকার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘আইএস দেশ-বিদেশে সব হামলার ক্ষেত্রেই দায়িত্ব স্বীকার করে। আইএস কেন হামলার দায় স্বীকার করে, এই দাবিটা কাদের মাধ্যমে করে, কেন করে তা উদঘাটনে আমরা চেষ্টা করছি।’