হোশি কুনিও হত্যা : ৮ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও হত্যা মামলায় নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আট সদস্যকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
কঠোর গোপনীয়তায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রংপুরের কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী আজ রোববার এই অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে জেএমবি সদস্য মাসুদ রানা, ইসাহাক আলী, আবু সাইদ, লিটন মিয়া, নজরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন আনসারী ও আহসান উল্লাহর নাম রয়েছে। এদের মধ্যে মাসুদ রানা, ইসাহাক আলী, আবু সাইদ ও লিটন মিয়া কারাগারে আটক আছে। বাকিরা পলাতক বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আবদুল কাদের জিলানী আদালতে অভিযোগ দাখিলের কথা স্বীকার করলেও এ ব্যাপারে আর কোনো তথ্য জানাতে অস্বীকার করেন।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবদুল মালেক গণমাধ্যমের সঙ্গে আগামীকাল সোমবার কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারী গ্রামে দুর্বৃত্তরা গুলি করে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিওকে হত্যা করে।
প্রায় নয় মাস তদন্ত শেষে এ হত্যা মামলায় জেএমবির আট সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। তবে এ মামলায় গ্রেপ্তার রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদুন্নবী খান বিপ্লব, হোশি কুনিওর সহযোগী হুমায়ুন কবীর হীরাসহ অন্যদের ব্যাপারে অভিযোগপত্রে কী বলা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এক বছরের ভিসা নিয়ে জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও রংপুরে এসেছিলেন। ছয় মাস ধরে তিনি রংপুরের মাহিগঞ্জের আলুটারী এলাকায় একটি কৃষি প্রকল্প পরিচালনা করে আসছিলেন। ঘটনার দিন নগরীর মুন্সীপাড়ার ৩১ নম্বর ভাড়া বাসা থেকে রিকশায় করে মাহিগঞ্জ যাওয়ার সময় আলুটারীতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে।
এ সময় হোশি কুনিওর বুক, পাঁজর ও হাতে তিনটি গুলি লাগে। এরপর দুর্বৃত্তরা তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাতের রগ কেটে দেয় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা হোশি কুনিওকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।