জয় বাংলা কোনো দলের নয়, বাঙালি জাতির স্লোগান : সংস্কৃতিমন্ত্রী
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, এটা বাঙালি জাতির স্লোগান। এই স্লোগানও মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। স্বাধীনতাবিরোধীরা বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিলুপ্ত করে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চালু করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা সফল হয়নি।’
রাজশাহীতে ১২তম বাংলা লোকনাট্য উৎসব ও গ্রাম থিয়েটারের বিভাগীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান নূর এ কথা বলেন। ‘এসো প্রাণের আলোয় দূর করি মনের অন্ধকার’ এই স্লোগানে সম্মেলন শুরু হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে পুঠিয়া রাজবাড়ী মাঠে এর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজামান নূর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণকে পুড়িয়ে হত্যা করে কোনো মঙ্গলের রাজনীতি হতে পারে না। যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই আবারও মানুষ পোড়ানোর রাজনীতি শুরু করেছে। তারা বাসে-ট্রাকে আগুন দিয়ে সাধারণ মানুষ পোড়াচ্ছে। মানুষ পুড়িয়ে দিয়ে কোনো রাজনীতি হয় না।’
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তারা আবারও মাথা তুলে দাঁড়াবার চেষ্টাও করেছিল। কিন্তু সেটা এ দেশের জনগণ হতে দেয়নি।’
সংস্কৃতিমন্ত্রী জানান, পুঠিয়া রাজবাড়ীর ঐতিহ্য রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এরই মধ্যে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘একজন রাজাকার ছিল সোনার বাংলা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। যাকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের সামনে আরো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। দেশি-বিদেশি চক্রান্তের মোকাবিলা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চক্রান্ত প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার পুঠিয়া শাখার আয়োজনে রাজশাহী ও রংপুরের বিভিন্ন থিয়েটারকর্মীদের নিয়ে শুরু হওয়া এই উৎসব ও সম্মেলন শেষ হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। অনুষ্ঠানে প্রবীণ নাট্যকর্মী আলী আফরোজ পিকু ও তাজুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উৎসবের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী সাইদ হোসেন দুলাল।
এর আগে স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্যে দিয়ে ১২তম বাংলা লোকনাট্য উৎসব শুরু করা হয়। পরে একটি শোভাযাত্রা বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।