বন বিভাগ, গ্রামীণফোন, র্যাব কর্মকর্তাসহ ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় আরো আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদের মধ্যে তৎকালীন সময়ে মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের কর্মকর্তাও রয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন গ্রামীণফোনের কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ, ফতুল্লা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার হোসেন, বন বিভাগের কর্মকর্তা ফজলুল হক, র্যাব ১১-এর ডিএডি (বর্তমানে সদর দপ্তরে কর্মরত) জামাল উদ্দিন তালুকদার, পুলিশের উপপরিদর্শক মাহমুদ আলম খান, সাধারণ নাগরিক রমজান হোসেন, মুকবুল হোসেন ও আবদুর রউফ।
পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই আটজনকে জেরা করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে আগামী ২৫ জুলাই পরবর্তী সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাক্ষীদের জেরা ও সাক্ষ্যগ্রহণের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এস এম ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সাত খুনের মামলা প্রমাণের ক্ষেত্রে আজকের সাক্ষীদের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই নিয়ে সাত খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় মোট ১২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে পৃথক দুই মামলার বাদী, একজন যুগ্ম জেলা জজ, পাঁচজন বিচারিক হাকিম, র্যাব কর্মকর্তা-সদস্য, বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও মোবাইল ফোন অপারেটর নেটওয়ার্ক কোম্পানির কর্মকর্তাসহ মোট ৮৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হলো।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এরপর শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাত খুনের ঘটনায় নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও তাঁর চার সহযোগী হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় চন্দনের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে একই থানায় অপর একটি মামলা করেন। দীর্ঘ এক বছর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মণ্ডল ৩৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলায় ৩৫ জন আসামির মধ্যে ২৩ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ১২ জন আসামি এখনো পলাতক।