আপিলের অনুমতি পেলেন শফিক রেহমান
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
একই সঙ্গে শফিক রেহমানের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার শফিক রেহমানের লিভ টু আপিলের (আপিলের জন্য অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
গত ৭ জুন হাইকোর্ট শফিক রেহমানের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আতাউর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে শফিক রেহমান ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিল বিষয়ে মামলার সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য শফিক রেহমানকে তিন সপ্তাহ এবং রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।
সাংবাদিক শফিক রেহমানের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী ও মো. আসাদুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এ বিষয়ে এ জে মোহাম্মদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শফিক রেহমানের লিভ টু আপিল শুনানি শেষে আদালত তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ এবং আপিলের অনুমতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষকে মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে বলেছেন আদালত।’
গত ২৫ মে জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন সাংবাদিক শফিক রেহমান।
এর আগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত এ মামলায় শফিক রেহমানের জামিন নাকচ করেন।
গত ১৬ এপ্রিল রাজধানীর ইস্কাটনের বাসা থেকে শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়ের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এর পর এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শফিক রেহমানকে দুই দফায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।