আসলাম চৌধুরী, স্ত্রী ও ভাইদের নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা
বেসরকারি এবি ব্যাংকের সোয়া ৩০০ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ রোববার সকালে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক মানিক লাল দাশ। মামলার আসামি হিসেবে আসলাম চৌধুরী, দুই ভাই ও স্ত্রীর নামও রয়েছে।
এ ঘটনায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ থেকে ২০১৩ সাল সময়ে এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা থেকে আসলাম চৌধুরী ও তাঁর পারিবারিক মালিকানাধীন একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামে উপযুক্ত জামানত ছাড়া ঋণ নেওয়া হয় ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯১৯ টাকা। এ টাকা সময়মতো পরিশোধ না করে কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তার যোগসাজশে আত্মসাৎ করার অভিযোগ আনা হয় মামলার এজাহারে।
মামলায় আসলাম চৌধুরীর স্ত্রী জামিলা নাসরিন মাওলা, ভাই রাইজিং স্টিল মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, এবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) বদরুল হক খান ও ফজলুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে গত রাতে বদরুল হক খান ও জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বশির আহমেদ খান জানান, গতকাল শনিবার রাতে দুদকের লোকজন জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে থানায় রেখে যান।
এদিকে, গুলশান থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা থেকে গত ১৫ মে বিকেলে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ইসরায়েলের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসির প্রধান মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে আসলাম চৌধুরীর বৈঠকের খবর ৯ মে প্রকাশিত হয় ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘জেরুজালেম অনলাইন ডটকম’-এ। এরপর বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমেও মেন্দির সঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর বৈঠক-সংক্রান্ত বেশ কিছু ছবি ও সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দেশের রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়।