মনজুর চট্টগ্রামকে গলাপানিতে ডোবাবেন : নাছির
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীন অভিযোগ করেছেন, সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম আরেকবার নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম নগরকে গলাসমান পানিতে ডোবানোর ব্যবস্থা করবেন।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরে নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালানোর সময় নাছির সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মনজুর আলম।
বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা আজ নববর্ষের শুভেচ্ছা নিয়ে নগরের অলিগলিতে ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরেন। সকালে নাছিরের পক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং মনজুর আলমের পক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নগরে গণসংযোগ করেন।
সকালে নগরীর ডিসি হিল এলাকায় প্রচার শুরু করেন নাছির। এ সময় তিনি ভোটারদের নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ২৮ এপ্রিল হাতি প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাছির গত পাঁচ বছরে সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনজুর আলমের ব্যর্থতা তুলে ধরেন। ব্যর্থতার বিরুদ্ধে এবার ভোটবিপ্লব হবে বলে জানান তিনি।
মনজুর প্রসঙ্গে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “উনি পাঁচ বছর মেয়র ছিলেন। উনি কোনো কিছুই করতে পারেননি। এটা আমার বক্তব্য নয়। আমি যেখানে যাচ্ছি, সেখানেই জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এসে এ কথা বলছেন। এককথায় বলতে গেলে, উনি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছেন। এই চট্টগ্রামকে গত পাঁচ বছরে উনি কোমরসমান পানিতে ডুবিয়েছেন। আরেকবার যদি সুযোগ পান, চট্টগ্রাম নগরকে গলাসমান পানিতে ডোবাবেন। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এখন উনি ‘এই করবেন, সেই করবেন’ বলার চেষ্টা করছেন। এখন আমরা জানতে চাই, গত পাঁচ বছরে উনি কী করেছেন। কী করবেন, এটা না। কী করবেন, এটা বলবেন নতুন একজন প্রার্থী। যিনি পুরোনো প্রার্থী, তিনি বলবেন বিগত দিনে কী করেছেন। সুতরাং আমি আশাবাদী, যেখানে যাচ্ছি স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পাচ্ছি। জনগণের মধ্যে এক ধরনের উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি মনে করি, ২৮ এপ্রিল নির্বাচনের দিন ভোটবিপ্লব হবে ব্যর্থতার বিরুদ্ধে; সম্ভাবনা আর সুযোগের পক্ষে ভোটবিপ্লব হবে।’
অন্যদিকে, বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী মনজুর আলম নগরীর চৌমুহনী ও আগ্রাবাদ এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ও সাবেক সিটি মেয়র মীর মো. নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মনজুর আলম ব্যর্থতার অভিযোগ অস্বীকার করে ৫৬টি নির্বাচনী ইশতেহারের অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছরের কাছাকাছি সময় আমরা সিটি করপোরেশন পরিচালনা করেছি। এখানে কোনো দলীয়করণ করা হয়নি। দল-মতের ঊর্ধ্বে থেকে ৫৫ জন কাউন্সিলর নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কোথাও আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না।
আমরা সবার কাছে সহযোগিতা পেয়েছি। বিগত সিটি নির্বাচনে আমরা ৫৬টি ইশতেহার দিয়েছিলাম। এর মধ্যে অনেকগুলো আমরা পূরণ করেছি। অনেকগুলো চলমান রয়েছে। কিছুটা কাজ অবশিষ্ট রয়েছে। তার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাইছি, যেহেতু আমরা পাঁচ বছর কাজ করেছি। ৪১টি ওয়ার্ড ডোর টু ডোর গিয়েছি কাজের স্বার্থে। বাস্তবমুখী একটি কর্মপরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করব। আমরা কিছুদিনের মধ্যে আপনাদের মাধ্যমে নগরবাসীকে অবহিত করব।’