সকলের বাসযোগ্য ঢাকা গড়া : আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের ইশতেহার
বিএনপিপন্থী সংগঠন ‘আদর্শ ঢাকা আন্দোলন’ ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ১৭ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের সদস্যসচিব শওকত মাহমুদ ‘সকলের জন্য বাসযোগ্য নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন আদর্শ ঢাকা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য’ স্লোগান সামনে রেখে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।
ইশতেহারের লিখিত বক্তব্য শেষে সংগঠনের আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
শওকত মাহমুদ বলেন, ‘ভবিষ্যতের ঢাকাকে সকলের জন্য বাসযোগ্য, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন মহানগর হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এসব লক্ষ্য পূরণে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। নির্বাচিত মেয়র এবং সব কাউন্সিলর যাতে ঢাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে তৎপর থাকেন, সে বিষয়েও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’ আদর্শ ঢাকা আন্দোলন সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকে বাস এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসকে মগ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।
এমাজউদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচনের অন্তত সাতদিন আগে যথোপযুক্ত ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
মহানগর ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়, সকল নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে করা হবে। কোনো ধরনের দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি বা তোষণ, বিশেষ কোটারি সৃষ্টি করা যাবে না। সিটি করপোরেশনের প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে দুর্নীতিমুক্ত করা হবে। বিশেষ হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ ও আদায়, ট্রেড লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ প্রদান ও সম্পাদনের ক্ষেত্রে সব ধরনের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূর করা হবে।
নগর পরিকল্পনার বিষয়ে ইশতেহারে বলা হয়, ঢাকা মহানগরীকে প্রকৃত আদর্শ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে নগর পরিকল্পনার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। নগর পরিকল্পনার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতে ন্যস্ত করা হবে।
এ ছাড়া নির্বাচনী ইশতেহারে মহানগরীর সড়ক, যানবাহন ও পরিবহনব্যবস্থা, শিক্ষাসেবা, স্বাস্থ্যসেবা ও রোগ প্রতিরোধ, মহানগরীর বিপণন ব্যবস্থা, মহানগরীর পরিবেশ সুরক্ষা, আবাসন, আইনশৃঙ্খলা, মানবাধিকার, নারীর অধিকার রক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা, মাদক দমন ও মাদকসেবীদের নিরাময় ও পুনর্বাসন, খেলাধুলা ও বিনোদন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি এবং শিল্প বিকাশ বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।