চট্টগ্রাম সিটির ৮০ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ : রিটার্নিং কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রগুলোর ৮০ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল বাতেন। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে আরো যা যা করতে হয়, সে বিষয়ে ১৯ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন কমিশনের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হবে ৭১৯টি কেন্দ্রে। এসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়াও ভোটগ্রহণে নিয়োজিত থাকবেন প্রায় ১৬ হাজার কর্মকর্তা। এরই মধ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। আজ নগরীর কয়েকটি স্কুলে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশিক্ষণ পরিদর্শনে এসেছিলেন নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব ও গতবারের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেসমিন টুলী। তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসাররা যেন আইন ও বিধির আলোকে পুরো ভোটকেন্দ্র পরিচালনা করেন, এটাই বলার জন্য এসেছি।’
প্রশিক্ষণে উপস্থিত রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ আমরা যা ধারণা করছি, প্রায় ৮০ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হবে।’
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘প্রশাসন থেকে, নির্বাচন কমিশন থেকে এই বার্তাই দিয়েছি এখানে কোনো রকমের নিরপেক্ষতা ভঙ্গ হবে না এবং আমরা সর্বাত্মকভাবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য দায়িত্ব পালন করব।’
প্রশিক্ষণ পরিদর্শনে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার আবদুল জলিল মণ্ডল বলেন, ‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ করার জন্য পুলিশের পক্ষে থেকে আমাদের যা কিছু সহযোগিতার প্রয়োজন ওনাদের নির্দেশনামতো আমরা সে সহায়তা দিয়ে যাব।’
এদিকে নিজ নিজ পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত দুই মেয়র পদপ্রার্থী। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের কাছে চাইছেন দোয়া। আবার কেউ উন্নয়নকাজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করছেন।
বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী ও সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম বলেন, ‘(ভোটাররা) ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন, ভোট পাহারা দেবেন, দুই হাত তুলে আমাকে ওনারা আশ্বস্ত করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘এখন আমি আশার বাণী শোনাতে চাই না। প্রতিশ্রুতির মধ্যে সীমাবদ্ধতা রাখতে চাই না। বাস্তবায়ন করতে চাই।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজনৈতিক দল সমর্থিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মেয়র পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।