সিটি নির্বাচনে থাকবেন ৩,৭০৪ পর্যবেক্ষক
আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য দেশের ৩৯টি সংস্থার তিন হাজার ৬৭১ জন এবং স্থানীয় বিদেশি তিন সংস্থার ৩৩ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (নিক)। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য সংস্থাগুলো করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষর করেন নিক-র জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান।
তিন হাজার ৭০৪ জন পর্যবেক্ষকের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৫টি স্থানীয় সংস্থার এক হাজার ৩৩০ জন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৭টি সংস্থার এক হাজার ৪৪৫ জন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সাতটি সংস্থার ৮৯৬ জন পর্যবেক্ষণ করবেন।
এ ছাড়া স্থানীয় বিদেশি তিনটি সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের (ডিআই) ১৮ জন, ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের (আইএইচআরসি) ১০ জন এবং জাপান অ্যাম্বাসির পাঁচজন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো প্রতি দলে অনধিক পাঁচজন করে দল গঠন করে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তবে কোনো কেন্দ্রে বা বুথে স্থায়ীভাবে কোনো পর্যবেক্ষক অবস্থান করতে পারবেন না। সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনুমতিসাপেক্ষে স্বল্প সময়ের জন্য তারা বুথে প্রবেশ করতে পারবেন।
ভোটের দিনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে অনুমোদিত পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোকে প্রত্যেক পর্যবেক্ষকের তথ্য পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত ফরমে লিখে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে এসএসসি পাসের সার্টিফিকেট এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে পাওয়া এসব আবেদন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী যাচাই করে সংস্থাভিত্তিক বৈধ পর্যবেক্ষকদের তালিকা তৈরি করবেন রিটার্নিং অফিসার। এসব পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি না থাকলে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত পরিচয়পত্র পাবেন তাঁরা।
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য একই ধরনের পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়েছে। এ জন্য পরিচয়পত্রের ওপর সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের নাম লেখা সিলমোহর দিতে হবে।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক লেখা স্টিকারযুক্ত গাড়িতে পর্যবেক্ষক ছাড়া অন্য কেউ ভ্রমণ করতে পারবেন না বলেও জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে আগামীকাল রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ওই বৈঠকেই তিন সিটির নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।