জঙ্গিরা পাবনায় অবস্থান নিয়েছে : এমপি প্রিন্স
পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেছেন, পাবনায় জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সেটা হতে পারে পাঁচজন, হতে পারে ১০ জন অথবা হতে পারে ১০০ জন। তারা অবস্থান নিতে পারে পাবনা শহরে, সদর উপজেলা অথবা জেলার যেকোনো উপজেলায়। তবে জঙ্গিরা যে পাবনায় ঢুকেছে এ ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আজ সোমবার রাতে সাড়ে ৯টায় পাবনা প্রেসক্লাবে ‘সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে সামাজিক ঐক্য’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এ কথা বলেন।
এমপি বলেন, জঙ্গিবাদ দমন করা এখন কোনো দলের বিষয় নয়। এটা সামাজিক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের পরিবার, প্রতিবেশী, সমাজের ওপর খেয়াল রাখতে হবে। তবেই জঙ্গিবাদ মোকাবিলা সম্ভব।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র সহসভাপতি কামাল সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল রহিম লাল, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মোশারোফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় ভূষণ রায়, পাবনা জেলা আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আহাদ বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সম্পাদক আখিনুর ইসলাম রেমন, সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মুরশাদ সুবহানী, সাবেক সম্পাদক এবিএম ফজলুর রহমান, সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক নরেশ মধু, আওয়ামী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি প্রলয় চাকী, দৈনিক পাবনার খবর এবং দি মর্নিং টাচ সম্পাদক এমজি বিপ্লব চৌধুরী, দৈনিত নতুন বিশ্ববার্তা সম্পাদক শহিদুর রহমান শহীদ, প্রথম আলো প্রতিনিধি সরোয়ার মোর্শেদ উল্লাস, যমুনা টেলিভিশন প্রতিনিধি ছিফাত রহমান সনম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) ফারুক হোসেন চৌধুরী, দি বাংলাদেশ টু-ডে স্টাফ রির্পোটার আব্দুল হামিদ খান প্রমুখ।
সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স আরো বলেন, জঙ্গি দমনে দরকার প্রত্যেক পরিবারে তাদের সন্তান, প্রতিবেশী, আত্মীয় স্বজনসহ সবার খোঁজ খবর রাখা। এদের নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শান্ত পাবনা যাতে অশান্ত না হয় তার দিকে খেয়াল রেখে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বক্তারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলনের পাশাপাশি পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কেউ বেশি দিন বাড়িতে অনুপস্থিত থাকলে কিংবা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ ১০ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। কারণ এখন শুধু গরিব কিংবা মাদ্রাসার ছাত্ররাই জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়াচ্ছে না। বিত্তবানের ছেলেমেয়েরাও এসব অপরাধমূলক কাজে জড়িত হচ্ছে। আজ জঙ্গিবাদের কারণে আমাদের দেশের মানুষকে বিদেশে অপমান করা হচ্ছে। ছোট করে দেখা হচ্ছে। জঙ্গিরা কোনো দলের শত্রু নয় দেশের শত্রু। এজন্য এদের প্রতিহত করতে সব শ্রেণি পেশার মানুষকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে।