খালেদা জিয়ার বাসার নিরাপত্তা পুলিশ ‘প্রত্যাহার’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবনের সামনে থেকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে গুলশান থানার পুলিশ এ ব্যাপারে কিছু জানে না বলে দাবি করেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, সর্বশেষ সেখানে সাতজন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ সকালে তাঁদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ছাড়া আজ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপনও বলেন, খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে নিয়মিত পুলিশ পাহারা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ কাজ করেছে বলে রিপন দাবি করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেশের বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের।
এ ব্যাপারে গুলশান থানার ডিউটি অফিসার শেখ শাহানুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।’
গুলশানে নিজ কার্যালয়ে প্রায় ৯২ দিন অবস্থান শেষে গত ৫ এপ্রিল নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় ফেরেন খালেদা জিয়া। এর একদিন পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বাসার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনে পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছিল।
ঢাকা সিটি নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইতে মাঠে নামেন খালেদা জিয়া। প্রথম দিন তিনি উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে গুলশান ও এর আশপাশের এলাকায় প্রচার চালান। গতকাল রোববার উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় প্রচারে নামেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাউস বিল্ডিং মোড় এলাকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৬০-৭০ নেতাকর্মী কালো পতাকা হাতে নিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের কাছাকাছি যান।
তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় কয়েকজন নেতাকর্মী গাড়িবহরে লাঠি ছুড়ে মারেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া যেখানেই যাবেন, সেখানেই যেন তাঁর কাছে জবাব চাওয়া হয়। আওয়ামী লীগও সে অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারের মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসনের কাছে জবাব চাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।