শোলাকিয়ায় হামলাকারীসহ দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের দিন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আটক জঙ্গি শরিফুল ইসলাম ওরফে শফিউল ইসলাম ওরফে সাইফুল ইসলামসহ (২০) দুজন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ঘোষপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত জঙ্গি শফিউল ইসলামের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারে। নিহত অপরজনের নাম জানা যায়নি।
র্যাবের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধে তাদের তিন সদস্য আহত হয়েছে। তাদের নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলিভর্তি পিস্তল, চারটি চাপাতি, তিনটি ককটেল, কাটার, হাতুড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ঈদের দিন পুলিশের গুলিতে আহত জঙ্গি শফিউলকে ময়মনসিংহে চিকিৎসা শেষে কিশোরগঞ্জ ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল। পথে কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ সড়কের ঘোষপাড়া ডাংরি এলাকায় পৌঁছামাত্র সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে জঙ্গি শফিউলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাব পাল্টা গুলি করলে অজ্ঞাত এক হামলাকারী গুরুতর আহত হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে হামলার সময় র্যাবের মাইক্রোবাসে থাকা জঙ্গি শফিউল গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে আহত শফিউল ও অপরজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন জানান, নিহত দুজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল।
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল ৯টার দিকে শোলাকিয়া মাঠসংলগ্ন আজিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি চেকপোস্টে জঙ্গিদের বোমা হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানের সময় গোলাগুলিতে এক নারী নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত হন আট পুলিশ সদস্য, তিন পথচারীসহ ১১ জন। এ ঘটনায় আবির নামের এক জঙ্গি ঘটনাস্থলেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন।