তহবিলের ৮৫ শতাংশ অর্থই অব্যবহৃত : টিআইবি
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য গঠিত তহবিলের ৮৫ শতাংশ অর্থ অব্যবহৃত রয়ে গেছে। তহবিলের ১২৭ কোটির মধ্যে ১০৮ কোটি টাকা এখনো কাজে লাগানো হয়নি।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
‘তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন : গত এক বছরের অগ্রগতি পর্যালোচনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি।
তহবিলের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলে টিআইবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ ১২৭ কোটি (১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকা। সেখানকার ১০৮ কোটি টাকাই কিন্তু অব্যবহৃত রয়ে গেছে।’
মামলার অভিযোগপত্র থেকে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার নাম বাদ দেওয়ায় টিআইবির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
তৈরি পোশাকশিল্পের দুর্ঘটনায় করা মামলার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাজরীন গার্মেন্টের মালিককে অভিযোগ থেকে পুরোপুরি খালাস দেওয়ারও সমালোচনা করে টিআইবি।
রানা প্লাজার দুর্ঘটনার পর কারখানা পরিদর্শনে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করা হলেও যথাযথ কর্মপরিবেশের অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হওয়া ৩২টি কারখানার ১৭ হাজারের বেশি শ্রমিককে এখনো পুনর্বাসন করা হয়নি বলেও দাবি করে টিআইবি।
সংবাদ সম্মেলনের ব্যানারে লেখা ছিল ‘জাগ্রত বিবেক, দুর্জয় তারুণ্য, দুর্নীতি রুখবেই’ স্লোগানটি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বা স্বপ্রণোদিত হয়ে রানা প্লাজা ধস-পরবর্তী সময়ে সুনির্দিষ্টভাবে গঠিত তহবিলে সাধারণ মানুষসহ সবাই কন্ট্রিবিউট করেছিল। সেহেতু সেই অর্থটা হয় পুরোপুরিভাবে অবশ্যই এই পারপাসে (উদ্দেশ্যে) ব্যয় হওয়া উচিত। হয় নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অথবা যদি ট্রাস্ট ফান্ডে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো তহবিলটাই সেখানে কেন আসবে না—সেটা আমরা প্রশ্ন করছি।’
তৈরি পোশাক খাতে সুশাসন নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন (২০১৩) অনুসারে, সরকার ও অন্যান্য অংশীদারের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, দায়িত্বে অবহেলা, রাজনৈতিক প্রভাব, পারস্পরিক যোগসাজশে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি এ খাতের দুর্ঘটনা ও কমপ্লায়েন্স ঘাটতির অন্যতম কারণ।