শুধু মোতায়েন নয়, সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা চায় বিএনপি
তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনীর হাতে ম্যাজিস্ট্রেসি (বিচারিক) ক্ষমতা চেয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘সেনাবাহিনী শুধু মোতায়েন নয়, তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে। তা না হলে যে উদ্দেশে সেনা মোতায়েন করা তা অর্জিত হবে না।’
নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কি না জানতে চাইলে বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, গতকাল বেগম খালেদা জিয়ার ওপর যে ন্যক্কারজনক হামলা করা হয়েছে। তাতে নির্বাচনী পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
আপনারা বলেছেন নির্বাচনী পরিবেশ নেই, তাহলে নির্বাচনে আসলেন কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দুটো কারণে আমরা নির্বাচন করছি। একটা হলো গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা এবং আরেকটি জনগণের সাথে থাকা। যত বাধা-বিপত্তিই থাকুক না কেন, আমরা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকব।’
‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সাথে ১২টি সুপারিশ করেছি। তার মধ্যে সেনা মোতায়েন তো ছিলই। এ ছাড়া নির্বাচনের আগ পর্যন্ত আমাদের নেতা-কর্মীদের কারো নামে যদি কোনো মামলা থেকেও থাকে। তারপরও যেহেতু এত দিন কিছু বলেনি, সেহেতু নির্বাচনের এই কয়েকটা দিন যেন অপেক্ষা করেন। অন্তত নির্বাচন পর্যন্ত যেন কাউকে আটক বা হয়রানি করা না হয়। সেজন্য পুলিশের আইজির সাথে কথা বলতে বলেছি,’ বলেন মওদুদ।
বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা আরো বলেন, ‘দলীয় পুলিশ, যাদের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অভিযোগ রয়েছে তাদের স্থানান্তরিত করা করতে সুপারিশ করেছি। সুপারিশ করেছি, প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করতে। সব প্রার্থীর মতামত নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো ঠিক করতে বলেছি।’
এ সময় মওদুদ আহমদের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকার ও সাবেক কেবিনেট মন্ত্রী আবদুল আলিম ছিলেন।
এর আগে আজ দুপুরের পর ঢাকার দুটি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন (নিক)। আগামী ২৬ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চারদিন সেনাবাহিনী দুই মহানগরে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ বলেন, ‘রিটার্নিং অফিসাররা যখনই চাইবেন, তখনই তারা (সেনাবাহিনী) তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে আসবে এবং যা করা প্রয়োজন তাই করবে।’
ভোটকেন্দ্রের ভেতরে সেনা সদস্যদের প্রবেশের অনুমতি থাকবে কি না, তা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘কোনো সময়ই সেনাবাহিনীকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এবারও দেওয়া হবে না। তারা শুধু স্ট্রাইকিং ফোর্স ও রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে থাকবে।’