‘যৌন হেনস্তা বোমার আঘাতের চেয়ে ভয়াবহ’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাসের বলেছেন, ‘বর্ষবরণের সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে যৌন হেনস্তার ঘটনা ঘটেছে তা ২০০০ সালে রমনা বটমূলের অনুষ্ঠানে নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতের চেয়ে ভয়াবহ।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ শিক্ষকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসের এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ড. মোহাম্মদ নাসের আরো বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রে সংঘটিত এমন ঘৃণিত ঘটনার জন্য আমরা শঙ্কিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে এর জন্য কিছু করতে না পেরে নিজের প্রতি ঘৃণা বোধ হচ্ছে। এই ঘটনায় আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, দুঃখিত ও লজ্জিত।’
ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহরে সব জায়গাতেই নারীরা নিপীড়িত হচ্ছে। এসব কুলাঙ্গারের যদি শাস্তি না হয় তাহলে এ ধরনের ঘটনা প্রবল আকার ধারণ করবে।’
উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘এ ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বভৌমত্ত্বকে নষ্ট করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষকদের যারা লজ্জিত করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। আর যাতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বভৌমত্বে আঘাত না দিতে পারে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এ প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনন্দ কুমার সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি বাসুদেব রায়, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি দেবশ্রী মণ্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করেন হিসাব বিজ্ঞানের শিক্ষক ইমরান হোসেন ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার।