‘মেয়র’ আরিফুলকে কেন জামিন নয়, রুল
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সরকারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. মুজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোহাম্মদ বশীর উল্লাহ। অন্যদিকে মেয়র আরিফুলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।
পরে রুল জারির বিষয়টি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মোহাম্মদ বশীর উল্লাহ সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ২২ মার্চ মায়ের অসুস্থতার কারণে হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ১৫ দিনের জন্য জামিন দিয়েছিলেন। জামিনে মুক্তির পর ১০ এপ্রিল আবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।
ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যেরবাজারে ঈদ-পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। সে হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তাঁর।
এ মামলার প্রথম দফায় দেওয়া অভিযোগপত্রে আরিফুলের নাম ছিল না। তবে সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্রে মেয়র আরিফুলের নাম আসে। সেই সংশোধিত সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর মেয়র আরিফুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
পরে ওই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আরিফুল বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নাকচ করে দিলে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটিরও সদস্য। সর্বশেষ ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে হারিয়ে তিনি সিলেটের মেয়র নির্বাচিত হন। তবে কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে তাঁকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।