আগে থেকেই অবস্থান, সবার হাতে কমলা রঙের লাঠি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরটি আজ বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় তাঁর গুলশানের বাসভবন থেকে বের হয়। ঠিক সাড়ে ৫টার দিকে কারওয়ান বাজার পার হয়ে গাড়িবহরটি বাংলামোটর পৌঁছায়। এরপর হঠাৎই লাঠিসোটা নিয়ে গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বঙ্গবন্ধু’।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িবহরটি বাংলামোটরে আসার পরপরই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেলসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগে থেকেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। সবার হাতেই ছিল কমলা রঙের লাঠি।
হামলাকারীরা বিএনপি চেয়ারপারসনকে বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে একাধিক লাঠি ছুঁড়ে মারে। একটি লাঠির আঘাতে গাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। বহরে থাকা একটি গাড়ির প্রায় সব কাচ লাঠি দিয়ে আঘাত করে ভেঙে ফেলা হয়। ওই গাড়িতে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফের সদস্যরা ছিলেন। ছাত্রলীগের কর্মীরা সিএসএফের একাধিক সদস্যকে গাড়ির বাইরে এনে লাঠি দিয়ে মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মারতে মারতে লাঠি ভেঙে ফেলেন। ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টের সামনেই ছাত্রলীগকর্মীরা সিএসএফ সদস্যদের ওপর এ রকম হামলা চালান।
গুরুতর আহত একজন সিএসএফ সদস্য সামিউল ইসলামকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আরেকজনকে ভর্তি করা হয়েছে একটি ক্লিনিকে। হামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুমও আহত হন। এ সময় গণমাধ্যমের কয়েকটি গাড়ির কাচও ভাঙচুরের শিকার হয়।
তবে বিএনপির চেয়ারপারসনের গাড়িতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান রুবেল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা হামলা করিনি। ওই গাড়িবহর আর যুবদলের মোটরসাইকেল আমাদের ওপর উঠিয়ে দেওয়া হয়। সিএসএফ আমাদের ওপর গুলিও করেছে।’ ছাত্রলীগের চার কর্মী এ সময় আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
ছাত্রলীগের কর্মীরা এ সময় বাংলামোটরে সংঘবদ্ধ হয়ে কী করছিলেন জানতে চাইলে মশিউর বলেন, ‘আমরা ইলিশ মাছ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারপত্র বিলি করছিলাম।’