সাংবাদিককে গাছে বেঁধে পেটাল বিজিবি
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) বিরুদ্ধে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ দুই সাংবাদিককে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক জনকণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক ও চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি এ রহমান মুকুলকে বিজিবি সদস্যরা গাছে বেঁধে পিটিয়েছেন বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিকরা।
পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা এ রহমান মুকুল ও সময় টেলিভিশনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি আবদুর রহিমকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাটসহ জনপ্রতিনিধিরা হাসপাতালে যান এবং তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আরিফুল হক বলেন, ‘তিনি (এ রহমান মুকুল) সাংবাদিক পরিচয় দিলে হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা ঘটত না।’
আহত সাংবাদিক এ রহমান মুকুল ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এনটিভি অনলাইনকে জানান, শনিবার ভোরে সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স-বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হন। এ খবর সংগ্রহ করতে গেলে তথ্য দিতে অস্বীকার করে বিজিবি। এ সময় বিজিবি সদস্যরা কাচু মোহাম্মদ নামে এক নিরীহ কৃষককে হঠাৎ মারপিট করতে থাকেন।
‘প্রকাশ্যে তাঁকে মারপিটের কারণ জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন বিজিবির ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন। একপর্যায়ে তিনিসহ ঘাগড়া ক্যাম্পের পাঁচ-ছয়জন বিজিবি সদস্য আমাকে ও রহিমকে পেটাতে থাকেন। সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাঁরা আরো বেশি রেগে যান।’
পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি আরো বলেন, সাংবাদিক রহিম মারধরের একপর্যায়ে সেখান থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন। তবে বিজিবি সদস্যরা আমাকে গাছের সাথে বেঁধে রাইফেলের বাঁট ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। মারপিটের এই দৃশ্য সীমান্তের শত শত মানুষ দেখেছে।’
তবে বিজিবির ঘাগড়া কোম্পানি কমান্ডার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সাংবাদিক পরিচয় না দিয়ে ওই দুই সাংবাদিক বিজিবি সদস্য এবং অধিনায়ক মহোদয়কে ঘুষখোর বলে গালি দেন। এ জন্য সৈনিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।’