অভিজিতের বই প্রকাশের কারণেই দীপনকে হত্যা
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেছেন, মুক্তমনা লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করার কারণেই ‘জাগৃতি’র প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে হত্যা করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল এ তথ্য জানান।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল জানান, প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যার প্রধান আসামি মইনুল হাসান শামীমকে গতকাল রাতে টঙ্গীর চেরাগ আলী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীপন হত্যার সময় নিজেকে মাসুম হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন শামীম।
শামীম ওরফে সিফাতের বাড়ি সিলেটের সুনামগঞ্জ এলাকায়। তিনি মদন মোহন কলেজের ছাত্র ছিলেন। দীপন হত্যাকাণ্ডের সময় শামীম আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এটিবি) সদস্যদের প্রশিক্ষক ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
সিটিটিসির প্রধান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে পাঁচজন প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছিল। ঘটনার আগে তারা সবাই গাজীপুরের টঙ্গীর একটি বাড়িতে এক মাস আগে থেকেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এবং মহাখালীর এক বাসায় অবস্থান করে তারা হত্যার জন্য রেকিও করেছিল।
মনিরুল আরো জানান, দীপন হত্যার সঙ্গে মেজর জিয়ারও একটা সম্পর্ক আছে বলে পুলিশ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শামীমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করবে পুলিশ।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুরে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে এর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
দীপন হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুর্বৃত্তরা লালমাটিয়ায় নিজ কার্যালয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক-ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে আহত করে। এ দুটি প্রকাশনী থেকেই প্রয়াত ব্লগার অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছিল। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যার দায় স্বীকার করে।