ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলেও সমস্যা হবে না : কৃষিমন্ত্রী
ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিলেও বাংলাদেশে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
কৃষকদের পুনর্বাসন ও প্রণোদনা ঘোষণা করতে আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার এনটিভি অনলাইনে ‘ফারাক্কা খুলছে, বিহারের বন্যার পানি আসবে বাংলাদেশে’ শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অবস্থিত আলোচিত ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সব গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এই নির্দেশ দিয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে পানি ছেড়ে দেওয়া হলে বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সমীর সিনহা বিবিসিকে বলেন, বর্ষাকালে এমনিতেই অন্য সময়ের তুলনায় ফারাক্কার বেশি গেট খোলা থাকে। এবার বিহার প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় ফারাক্কার ১০৯টি গেটের নয়টি বাদে সবই খুলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বিবিসিকে জানিয়েছে, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে, তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে না। যেহেতু এখন ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি কমছে, সে জন্য পদ্মার পানি বাড়লেও সেটি বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।
আজ কৃষিমন্ত্রী জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ জেলার কৃষকদের পুনর্বাসন ও সারা দেশের কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে মোট ৪২ কোটি নয় লাখ ৮২ হাজার টাকার ধানের চারা, সার ও বীজ সহায়তা দেওয়া হবে। সারা দেশের চার লাখ সাড়ে ১৮ হাজার কৃষক এই সহায়তা পাবে। কৃষকদের কার্ডের বিপরীতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে এই সহায়তার অর্থ বিতরণ করা হবে। এর ফলে ধান-চালের পাশাপাশি খাদ্যশস্য ও সবজি উৎপাদন বাড়বে।